বিশেষ্য
বিশেষ্য:-
* বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য বলে।
* কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে। একে নামপদও বলা হয়।
যেমন: মণি কৃষ্ণকলি, ভারতবর্ষ, পুনে ।
প্রকারভেদ:-
বিশেষ্য মোট ছয় প্রকার:- যথা- সংজ্ঞা বা
নামবাচক বিশেষ্য, জাতিবাচক বিশেষ্য, বস্তুবাচক
দ্রব্যবাচক বিশেষ্য, সমষ্টিবাচক বিশেষ্য, ভাববাচক বা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য,ও গুনবাচক বিশেষ্য।
১)সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য:-
যেসব বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: রাম, রহিম, ঢাকা, পদ্মা, গঙ্গা, তাজমহল , রামায়ণ , মহাভারত ইত্যাদি।
২)জাতিবাচক বিশেষ্য:-
যে বিশেষ্য পদের
সাহায্যে
কোনো
প্রাণী
বা
বস্তুর
জাতি
বোঝায়,
তাকে
জাতিবাচক
বিশেষ্য
বলে। যেমন:
মানুষ,
মুসলিম,
হিন্দু,
রাজা
ইত্যাদি।
৩)বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য:-
যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তু বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: দুধ , বালি,জল লবণ ইত্যাদি।
৪)সমষ্টিবাচক বিশেষ্য:-
যে
বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: জনতা, সমিতি, সভা, দল ইত্যাদি।
৫)ভাববাচক বা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য:-
যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ গমন , দর্শন , ভোজন ,আনন্দ, বেদনা ,ক্রোধ,শয়ন,দেখা,শোনা প্রভৃতি। ভাববাচক শব্দের শেষে হয়।
৬)গুনবাচক বিশেষ্য:-
যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ, দুঃখ, দয়া, বীরত্ব,অহংকার,সৌন্দর্য,মধুরতা,তারল্য,তিক্ততা,তারুণ্য প্রভৃতি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন