নাটকের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

 নাটক কাকে বলে

    'নাটক' বা সর্বজনগ্রাহ্য অর্থে 'drama' পদ্ম কিংবা গদ্য সংলাপের রীতিতে রচিত মঞ্চে অভিনয় উপযোগী এক সাহিত্যকর্ম, শ্রুতি ও দৃশ্য নির্ভর মাধ্যমের সাহায্যে পরিবেশন যোগ্য এক ফলিত শিল্প রূপ।

     ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রের উদ্ভব প্রসঙ্গে কথিত আছে যে স্বয়ং ব্রহ্মা পঞ্চম বেদ হিসেবে নাট্যশাস্ত্র প্রণয়ন করেন এবং বৃদ্ধ ভরত তথা ভরত মুনিকে এই নাটকের দান করেন। ভারতের নাট্যশাস্ত্র নৃত-গীত-অভিনয়-কলা বিষয়ক পাড়া প্রাচীনতম গ্রন্থ।

      অ্যারিস্টোটলের পয়েটিক্সে -এ যেমন, তেমনি সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্ত্রে নাটককে কাব্য সাহিত্যের পর্যায় ভুক্ত করা হয়েছে। সংস্কৃত অলঙ্কারিকেরা নাটককে প্রধানত 'দৃশ্য কাব্য' বলে অভিহিত করেছেন যদিও দৃশ্য ও শ্রব্য কাব্যের সমন্বয়েই নাটক গতিশীল মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি মুহূর্ত করে তোলে রঙ্গমঞ্চের ভিত্তিভূমিতে। 

# বিশ্বনাথের সাহিত্য দর্পণে দশ প্রকার রূপকের অন্যতম হিসেবে নাটকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

#মার্জারি বোলটন বলেছেন- It is a literature that walks and talks before our eyes'.



নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি কি

নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরূপ-

১) দৃশ্য, শ্রব্য কাব্যের সমন্বয়ে নাটকে গতিশীল মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি মূর্ত করে তোলে রঙ্গমঞ্চে।

২) নাটকের মূল বৈশিষ্ট্য হল অভিধা।

৩) অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেতা তাঁর উপর আরোপিত চরিত্রের রূপ চিত্রিত করে দর্শক চিত্তে।

৪) চরিত্র, সংলাপ ও ঘটনার সংস্থাপনে ব্যক্তি মানুষের সুখ দুঃখের পাশাপাশি বৃহত্তর সামাজিক জীবনের প্রতিচ্ছায় ফুটে ওঠে নাটকে।

৫) দর্শকের সাথে নাটকের চরিত্রে নিবিড় আত্মীয়তা গড়ে ওঠে।

৬) সংস্কৃত নাটকের সূত্র ধরেই বাংলা নাটকের বৈশিষ্ট্য গুলি গড়ে উঠেছে।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভাষাবিজ্ঞান

ক্রিয়াপদ

কবিতার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য